একটু বিনোদন ও প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুটে আসে কক্সবাজারে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকেতের স্বাস্থ্যকর ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে পর্যটকরা বার বার এখানে বেড়াতে আসেন। জোয়ারের উত্তাল ঢেউ সমুদ্রের পাড় ভেঙে দিয়েছে। গত মাসে সমুদ্র সৈকতের অন্তত ৫টি পয়েন্ট ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর ও কলাতলী পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। সমুদ্রের পানি পর্যটকদের জন্যে রাখা চেয়ারের জায়গা ডুবিয়ে বিভিন্ন মার্কেটের কাছাকাছি চলে এসেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সৈকতের ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগের বাঁধ দিয়ে রেখেছেন লাবণী পয়েন্টে। দিনাজপুর থেকে আসা সানজিদা আক্তার বলেন, লাবণী পয়েন্টে বালির বাঁধ দেয়া হলেও আমরা তার নিচ দিয়ে সমুদ্রে নামি। সমুদ্রের পানি আমাদের অতি যত্নে পা ভিজিয়ে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে সাগরের পানি অতিথিদের যেন আদর করে পা ধুয়ে মুছে দিচ্ছে। এখানে আসলে সাগরের বিশালতা ও আতিথিয়তা দেখতে পাওয়া যায়। কক্সবাজারের স্থানীয় এডভোকেট সরওয়ার আলম বলেন, ভোর বেলা ও বিকেল বেলায় স্থানীয়দের পাশাপাশি অনেক পর্যটক শরীর চর্চা করতে কক্সসবাজার সমুদ্র বেলাভূমিতে নামে। লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এসে ভেঙে যাওয়ায় এদিকে পর্যটকের সংখ্যা একটু কম। কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি। পটিয়া থেকে আসা শাহ হোসেন বলেন, সমুদ্রে স্নান করতে খুব ভালো লাগে। বন্ধুদের নিয়ে এখানে বেড়াতে আসি। এখানকার পরিবেশ ও সমুদ্রের মিতালি এক অপূর্ব অনুভূতির সৃষ্টি হয়। ঢাকা মিরপুর থেকে আসা সোহেল রানা বলেন, এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে পরিবারসহ কক্সবাজারে এসেছি আজ তিন দিন। আগামীকাল কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে সমুদ্র দেখতে দেখতে যাব টেকনাফে। ওখান থেকে আসার পথে উখিয়ার পাথুরে গাথা ইনানী সমুদ্র সৈকতে নামবো। একদিকে পাহাড় অন্যদিকে সমুদ্র মাঝ পথে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটকদের আকর্ষণের যেন শেষ নেই। বৃহস্পতিবার আসলেই উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও কর্মীরা ছুটে যান কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। শুক্র-শনি দুই দিন বন্ধ থাকায় তারা রাত্রি যাপন করারও সুযোগ পান। সমুদ্র সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন পর্যটকদের খুব ভিড় থাকে। এতে ব্যবসাও ভাল হয়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রেজাউলল করিম বলেন, সাগর যখন উত্তাল থাকে তখন পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হয়। টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সচেতনতা অবলম্বনের জন্য মাইকিং করা হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষনিক সজাগ রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।
হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এবার ক্যাম্প-৪ ডাব্লিউতে পুড়ে গেছে তিনটি ...
পাঠকের মতামত